আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি বাড়ী ও সড়কগুলোর দু’পাশে সরকারি-বেসরকারিভাবে লাগানো গাছগুলো ভরে গেছে কাঁঠালে কাঁঠালে।
লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন বাড়ী ও সড়কের দু’পাশে কাঁঠালের সারিবদ্ধ গাছ পথচারীদের মুগ্ধ করে। রাস্তা জুড়ে এসব গাছে ঝুলে আছে কাঁঠাল। পথচারীরা চলার পথে একটু দাঁড়িয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখছে সারিবদ্ধভাবে লাগানো এসব গাছের কাঁঠাল। আঠালো এই ফলটি সাইজে খুব একটা বড়ো না হলেও স্বাদে অন্যন্য।
প্রতিটি মানুষের সুস্থ্য-সবল স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিনের অভাব পূরণে সুস্বাদু কাঁঠাল খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান সেলিম বলেন, অনুকূল আবহাওয়ায় গাছে ব্যাপক কাঁঠাল ধরেছে। কাঁঠাল উৎপাদনে কোনো খরচ না থাকায় চাষিরা লাভের মুখ দেখবে। লালমনিরহাট জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর কাঁঠাল রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে বলে আশা করছেন চাষিরা।
লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নেই অনেক কাঁঠাল গাছ রয়েছে। একটি কাঁঠাল গাছে গড়ে ২০-৩০টি পর্যন্ত কাঁঠাল ধরেছে।
কৃষকরা জানান, কাঁঠালের একটি বড় গুণ হলো এর কোনো কিছুই ফেলনা নয়। কাঁচা কাঁঠালের তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালের বিচি দিয়ে সুস্বাদু তরকারি রান্না করা হয়। এর খোলস ও পাতা গরু-ছাগলের প্রিয় খাবার। এ ছাড়া কাঁঠালের কাঠ থেকে ভালো মানের আসবারপত্র তৈরি হয়।
পাকা কাঁঠালে ১দশমিক ৮মিলিগ্রাম প্রোটিন, দশমিক ৩০মিলিগ্রাম ফ্যাট, ২৬দশমিক ১মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১দশমিক ৭মিলিগ্রাম লৌহ, দশমিক ১১মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ রয়েছে। তাছাড়া কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, ও ই ভিটামিন রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, ব্যক্তিগতভাবে বাড়ির আঙ্গিনায় কাঁঠাল চাষ করা হচ্ছে। কাঁঠাল চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।